প্রথম পক্ষের স্ত্রী পুড়িয়ে মারলো স্বামীকে , বাড়ি ভাঙচুর করলো উত্তেজিত প্রতিবেশীরা

14th December 2020 1:28 pm হুগলী
প্রথম পক্ষের স্ত্রী পুড়িয়ে মারলো স্বামীকে , বাড়ি ভাঙচুর করলো উত্তেজিত প্রতিবেশীরা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ডানকুনিতে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল।সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ডানকুনি ৯ নম্বর রেল গেট এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সাউয়ের ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় সুবর্ণা সরকারের(সাউ) সাথে।এলাকাবাসীরা জানান বিয়ের পর থেকেই স্বামীর উপর অত্যাচার চালাতো সুবর্ণা । সঞ্জয় সাউয়ের সমস্ত সম্পত্তি লিখিয়ে নিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করে বলে অভিযোগ  সুবর্ণার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের।এর একবছর পর আবার বিয়ে করে সঞ্জয় নিজেও।কিন্তু মাঝে মধ্যেই প্রথম পক্ষের স্ত্রী সুবর্ণা সঞ্জয়ের উপর অত্যাচার চালাতো বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দেদের।এরপর গত দশদিন আগে সুবর্ণা সরকার(সাউ) ও তার মা হঠাৎ সঞ্জয়ের বাড়িতে এসে সঞ্জয়কে মারধর করে ও তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় সঞ্জয় সাউয়ের।এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। তারা সুবর্ণা সরকার(সাউ) ও তার মায়ের কঠিন শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। সুবর্ণা বাড়ি ভাঙচুরও করে উত্তেজিত জনতা।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসে পুলিশ এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ডানকুনি থানার পুলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।